লালমনিরহাটে শিয়ালের কামড়ে ৯ জন আহত
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২২-০১-২০২৫ ০৩:৩২:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২২-০১-২০২৫ ০৩:৩২:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
লালমনিরহাটে একরাতে শিয়ালের কামড়ে ৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের একজনের অণ্ডকোষ ও একজনের কান কামড়ে ছিঁড়ে নিয়ে গেছে। শহরের ব্যস্ততম এলাকা মিশন মোড়ের অদূরের সেনামৈত্রি মার্কেটে সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত ৮টার পরে এসব ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের কারও কান, কারও অণ্ডকোষ ও শরীরের মাংস ছিঁড়ে নিয়ে গেছে বন্য শেয়াল। আহতদের লালমনিরহাট সদর হাসপাতালসহ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
সাইদুল ইসলাম নামের প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কিছু বোঝার আগেই হঠাৎ একজনকে কামড় দেয় একটি শেয়াল। চতুর শেয়ালটি কামড় দিয়েই সটকে পড়ে। আবার কামড়ে আবার সটকে পড়ে। এভাবে ৯ জনকে কামড়ে দিয়েছে শিয়াল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শচীন নামের এক শ্রমিক নেতার অণ্ডকোষ ও মোখলেস নামে এক মধ্যবয়সী লোকের কান কামড়ে নিয়ে গেছে শেয়ালটি। পরে তাদের হাসপাতাল নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিয়ালের কামড়ে আহত শ্রমিক নেতা জেমস পিটার শচীন জানান, জেলা শহরের হাড়িভাঙ্গা থেকে পুলিশ লাইন্স ও সার্কিট হাউজের সামনে দিয়ে মিশন মোড় যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ কোথা থেকে একটি শিয়াল এসে তাকে আক্রমণ করে। এ সময় শিয়ালটি তার অণ্ডকোষের কিছু অংশ কামড়ে ছিঁড়ে নিয়ে যায়। নিজেকে রক্ষা করতে শিয়ালের সঙ্গে অনেক সময় ধরে যুদ্ধ করতে হয় তাকে। পরে একজন পথচারী লাঠি নিয়ে এলে শিয়ালটি পালিয়ে যায়। এরমধ্যেই তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় বসিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেনামৈত্রী বাজারের মোবাইল ব্যবসায়ী সাব্বির আহমেদ বলেন, আমরা কয়েকজন একত্রিত হয়ে শিয়ালটিকে মারতে গেলে আমাদেরকেও আক্রমণ করতে আসে। শিয়ালের কামড়ের ভয়ে ও হিংস্রতার কারণে সড়কের লোকজন ছোটাছুটি করে নিরাপদ স্থানে চলে যান। এরমধ্যেই শিয়ালটি একটি শিশুসহ একে একে শহরের অনেককে কামড়ে দেয়।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. সামিরা হোসেন চৌধুরী বলেন, শিয়ালের কামড়ে আহত অবস্থায় চার জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে আলিফ নামে এক শিশুও আছে। আহতদের চিকিৎসার পর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শচীন ও মোখলেসকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তা মাহবুবুল হক খাবার সঙ্কট এবং বাসস্থানের অভাবকে দায়ী করে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি শিয়ালসহ কিছু বন্যপ্রাণী লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। মানুষের নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে জানিয়েছি। বেপরোয়া শিয়ালগুলোকে ধরার চেষ্টা চলছে।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স